কাজী মামুন / পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালীতে ১০০ টাকার তিনটি ব্ল্যাং স্ট্যাম্পে শাক্ষর নিয়ে জমি জবরদখলের চেষ্টা করছে চক্রের মূল হোতা মনির হোসেন চৌকিদার। জেলার দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের নেহালগঞ্জ বাজার সংলগ্ন দক্ষিণ আদমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানাগেছে ভিক্ষুক মোসলেম উদ্দিনের পরিবার দীর্ঘ দিন এলাকার বাহিরে থাকতো,সারা জীবনের ভিক্ষার টাকা ও ছেলে শাহাবুদ্দিন এর দিনমজুরির টাকা জমিয়ে নিজ গ্রাম আদমপুরে একটু জমি ক্রয় করে থাকার জন্য একটি ঘর তৈরি করে পরিবার পরিজন নিয়ে সেখানে বসবাস করে আসছে। কিন্তু ঐ ঘর ও জমির উপর কু-নজর পরে একই এলাকার প্রতিবেশী সুদী ব্যবসায়ী মনির চৌকিদার সহ তার সহকারীদের, প্রথমে আপোষে জমি দিতে বল্লে তাতে রাজি নাহওয়ায় মনির ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। গত ১৬ই জুন শাহাবুদ্দিনের নাবালক ছেলেসাহেদ ( ছদ্মনাম) কে জরিয়ে মনিরের ভাতিজার স্ত্রীকে জরিয়ে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে ছরায় এবং মনির তার নিজ উদ্যোগে সালিশ মিমাংসা করার জন্য শাহাবুদ্দিনকে ডেকে আনে তার আগে ছেলে সাহেদকে আটক করে রাখে মনির সহ তার দল। দুপুরে মনিরের ডাকে এবং নিজের ছেলেকে উদ্ধার করার জন্য শাহাবুদ্দিন মনিরের বাড়ীতে গিয়ে ঘটনা শোনে,তখন মনির এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য শাহাবুদ্দিনের কাছে পাচ লক্ষ টাকা দাবী করেন।এক পর্যায় মনির এক লক্ষ টাকার দাবী করে ঘটনার মিমাংসা করার জন্য,শাহাবুদ্দিন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মৃত্যু লতিফ চৌকিদারের ছেলে মনির চৌকিদার, বারেক চৌকিদারের ছেলে মোশারেফ চৌকিদার, জয়নাল চৌকিদারের ছেলে ইউসুফ চৌকিদার ও মৃত্যু রশিদ চৌকিদারের ছেলে মানিক চৌকিদার দশমিনা উপজেলা সদরে গিয়ে ১০০ টাকার তিনটি স্ট্যাম্প কিনে তাতে জোরকরে শাহাবুদ্দিনের শাক্ষর নেয়।শাহাবুদ্দিন ঐ দিনই বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন মৃধাকে লিখিতভাবে অবহিত করেন। চেয়ারম্যান লিখিত অভিযোগ পেয়ে প্রতিপক্ষ মনির গংদের পরিষদে আসার জন্য নোটিশ জারি করলেও তারা চেয়ারম্যানকে পাত্তা নাদিয়ে উল্টো শাহাবুদ্দিনের কাছে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পাবে বলে জানায় এমনকি তাদের বাড়ীথেকে তারিয়ে দিয়েছে বলে শাহাবুদ্দিন জানায়।এ ঘটনার বিচারের দাবীতে শাহাবুদ্দিন ও তার পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে এবং বিচারের আসায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।এ বিষয় চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার মৃধার মুঠোফোনে কথাহলে অভিযোগ পাওয়া এবং নোটিশ অমান্য করার বিষয়টি স্বীকার করেন।অপর দিকে এলাকাবাসী বলছে শাহাবুদ্দিনের বাবা ভিক্ষুক ছিলেন অনেক কস্টকরে একটু জমি কিনে ঘর করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছে, মনিরের ঐ জমিতে নজর পরার কারনে শাহাবুদ্দিনের পরিবারটিকে তাদের জমিও ঘর জবরদখল করে এলাকা ছারা করার পায়তারা করছেন।০৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন প্যাদা বলেন যে,এখানে জমিজমা সংক্রান্তকোন বিষয় নেই, শুধু একটি মেয়েকে জরিয়ে মিথ্যা অপবাদ তৈরি করে দিনমজুর শাহাবুদ্দিনকে ফাইল করে তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা করছে।এ বিষয় এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে ব্ল্যাং স্ট্যাম্প উদ্ধার সহ জরিত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে মনির সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির দাবী জানান এবং শাহাবুদ্দিন ও তার ছেলে সহ পরিবারের সদস্যদের নিজ বাড়ী ফিরিয়ে দেয়ার দাবী জানান।
Leave a Reply